You are currently viewing Wifi Business / ওয়াইফাই ব্যবসা

Wifi Business / ওয়াইফাই ব্যবসা

বাংলাদেশে স্বল্প পরিসরে ওয়াইফাই ব্যবসা শুরু করতে হলে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করতে হবে:

করণীয়:

  1. বাজার গবেষণা করা: কোন এলাকায় ওয়াইফাই সেবা দেওয়ার চাহিদা আছে তা নির্ধারণ করা।
  2. লাইসেন্স ও অনুমতি: সরকারি সংস্থা থেকে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স এবং অনুমতি সংগ্রহ করা।
  3. ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি: একটি ভালো ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করা।
  4. সাইট নির্বাচন: ভালো কভারেজ এবং গ্রাহক সুবিধার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা।
  5. সঠিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ: মানসম্পন্ন সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করা যা দীর্ঘস্থায়ী এবং ভালো সেবা প্রদান করবে।
  6. ইনস্টলেশন ও মেইনটেন্যান্স টিম গঠন: একটি দক্ষ টিম তৈরি করা যারা ইনস্টলেশন এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে।
  7. গ্রাহক সেবা: গ্রাহকদের সেবা প্রদান এবং তাদের সমস্যার সমাধান করতে একটি গ্রাহক সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা।

সরঞ্জামের তালিকা এবং আনুমানিক মূল্য:

  1. রাউটার (Router):
    • ভালো মানের একটি রাউটারের মূল্য: ৫,০০০ – ১৫,০০০ টাকা।
    • ব্যবসায়িক মানের রাউটার: ২০,০০০ – ৫০,০০০ টাকা।
  2. অ্যাক্সেস পয়েন্ট (Access Point):
    • সাধারণ অ্যাক্সেস পয়েন্ট: ৫,০০০ – ১০,০০০ টাকা।
    • উচ্চমানের অ্যাক্সেস পয়েন্ট: ১৫,০০০ – ৩০,০০০ টাকা।
  3. পাওয়ার ওভার ইথারনেট (PoE) সুইচ (Power over Ethernet Switch):
    • ৮ পোর্ট PoE সুইচ: ৮,০০০ – ২০,০০০ টাকা।
    • ২৪ পোর্ট PoE সুইচ: ২০,০০০ – ৫০,০০০ টাকা।
  4. মডেম (Modem):
    • সাধারণ মডেম: ৩,০০০ – ৮,০০০ টাকা।
  5. ফায়ারওয়াল (Firewall):
    • সাধারণ ফায়ারওয়াল ডিভাইস: ১৫,০০০ – ৫০,০০০ টাকা।
    • উন্নত ফায়ারওয়াল ডিভাইস: ৫০,০০০ – ১,০০,০০০ টাকা।
  6. কেবল (Ethernet Cables):
    • প্রতি মিটার ক্যাট-৫/ক্যাট-৬ কেবল: ২০ – ৫০ টাকা।
  7. ইউপিএস (UPS):
    • সাধারণ UPS: ৩,০০০ – ১০,০০০ টাকা।
    • ব্যবসায়িক UPS: ১০,০০০ – ৩০,০০০ টাকা।

অন্যান্য খরচ:

  • ইনস্টলেশন খরচ: ৫,০০০ – ২০,০০০ টাকা।
  • রক্ষণাবেক্ষণ খরচ: প্রতি মাসে ২,০০০ – ১০,০০০ টাকা।
  • লাইসেন্স এবং অনুমতির খরচ: প্রায় ২০,০০০ – ১,০০,০০০ টাকা (সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে)।

এই সমস্ত খরচ বিবেচনা করে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট এবং পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এছাড়াও, প্রাথমিক পর্যায়ে গ্রাহক আর্কষণের জন্য কিছু প্রোমোশনাল অফার রাখা যেতে পারে।